Bangladesh

Step against Khaleda Zia only after consulting doctors: Bangladesh government

Step against Khaleda Zia only after consulting doctors: Bangladesh government

| | 22 Apr 2018, 10:39 am
ঢাকা, এপ্রিল ২২ঃ বিএনপি নেতারা দ্রুত তাদের 'অসুস্থ' নেত্রী খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দাবি করলেও, সরকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে এই বিষয় পদক্ষেপ নেবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আজ এই বিষয়টি বলেছেন।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ মন্ত্রী সাথে আজ জিয়ার স্বাস্থের বিষয় উদ্বেগ প্রকাশ করে দেখা করেন, সংবা মাধ্যম সুত্রে জানা গেছে।

 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই সাক্ষাৎ এর শেষে সাংবাদিকদের বলেনঃ "তিনি আগে থেকেই কতগুলো রোগে ভুগছেন। আমাদের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুতে চিকিৎসা দেওয়া হয়।"

"তারপরও তিনি কয়েকজন চিকিৎসকের কথা বলেছেন যারা তার চিকিৎসা দিতেন," উনি বলেন।

“কৃত্রিম হাঁটু থাকলে সব মেশিনে 'এমআরআই' করা যায় না। এ ধরনের মেশিন ইউনাইটেডে রয়েছে জানিয়ে দুই নেতা সেখানকার কথা বলেছেন।এ বিষয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেব," মন্ত্রী বলেন।

 

“তাদের (বিএনপির দুই নেতা) এটাই বলেছে, যা যা প্রয়োজন আমরা তাই করছি এবং সামনে যা প্রয়োজন হবে, জেলকোড অনুযায়ী হবে। জেলকোডের বাইরে যদি কিছু করতে হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব," উনি বলেন।


মন্ত্রী বলেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা সরকার নেবে।


অন্যদিকে,  সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে হাজির না করায় জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্কের শুনানি আবারও পিছিয়ে গেছে।

রোববার ঢাকার ৫ নম্বর  বিশেষ জজ আদালতের  বিচারক মো. আখতারুজ্জামান  শুনানির জন্য ১০ মে নতুন তারিখ রেখে ওইদিন খালেদা জিয়াকে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। আসামিপক্ষ ওই সময় পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন বাড়ানোর আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

 

তবে অসুস্থতার কারণে বিএনপি নেত্রীকে আদালতে হাজির করা যায়নি জানিয়ে  দুদকের পক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আসামির হাজিরার ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানানো হলেও বিচারক তাতে সায় দেননি।


এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।

আর জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে ওই কারাগার থেকে সিকি কিলোমিটার দূরত্বে বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠ সংলগ্ন বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে।

এ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামানই এতিমখানা দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়ার সাজার রায় দেন।


সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ দাতব্য ট্রাস্ট মামলার অন্যতম আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে আংশিক যুক্তিতর্ক হয়।

 

এরপর বিচারক ২৮ মার্চ ও ৫ এপ্রিল শুনানির জন্য তারিখ রাখলেও কারা কর্তৃপক্ষ কোনোদিনই খালেদা জিয়াকে হাজির করতে পারেনি।

 

রোববার রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে যে হাজিরা পরোয়ানা ফেরত দিয়েছে, সেখানে লেখা ছিল  ‘নট ফিট ফর টুডে’।


জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।

তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

এরপর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।


খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব বিআইডব্লিউটিএয়ের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানও এ মামলায় আসামি। আসামিদের মধ্যে হারিছ চৌধুরী পলাতক।

 

মুন্না ও মনিরুল জামিনে আছেন।


রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি যুক্তিতর্কের শুনানিতে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে দুদক।

অপরাধ প্রমাণিত হলে দুদক আইনে তাদের সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদন্ড হতে পারে।