Bangladesh
Steps taken to reduce erosion by Padma River
আজ সোমবার থেকে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে। এছাড়া পানি কমলেই এ এলাকায় বাঁধের কাজ শুরু হবে।
রোববার সকালে নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর, মূলফৎগঞ্জ ও বাঁশতলার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে নড়িয়া উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) সচিব কবির বিন আনোয়ার এ কথা তিনি বলেন, স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধের জন্য শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার ৯ কিলোমিটার জুড়ে ‘পদ্মার ডান তীর রক্ষা প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প একনেক সভায় পাস হয়েছে। পদ্মা সেতু থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৯৭ কোটি টাকা। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে পদ্মার ভাঙনের তীব্রতা রোধে জুলাই মাসে সাড়ে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ অর্থ ব্যবহার করে ১১ জুলাই থেকে ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করা হয়, যা এখনও অব্যাহত আছে। নদ-নদীর জন্য আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে তথা ১২ বছরে ২ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৮০টি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
সচিব আরও বলেন, মূলফৎগঞ্জ বাজারের পদ্মার পাড়ে জিও ব্যাগ ফেলে কিছুটা হলেও ভাঙন ঠেকানো গেছে। এই খাতে নতুন করে আরও ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পদ্মার ¯্রােতে নড়িয়া-জাজিরার তীরগুলো ভেঙে যাচ্ছে। তাই মাঝখানের চরগুলোকে কেটে ওই দিক দিয়ে পানি প্রবাহিত করার চেষ্টা চলবে।
ঘুরিয়ে দেয়া হবে। প্ল্যান করেই কাজ শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই কাজে নড়িয়া এলাকায় একটি ড্রেজার এসেছে। আরেকটি ড্রেজার দুই একদিনের মধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকায় পৌঁছে যাবে।
আইড়াল খা, মধুমতি ও পদ্মা নিয়ে আরও ২ হাজার ৯১ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। প্রতিবছর পদ্মায় ভাঙনে যারা সহায় সম্বলহীন হয়ে যাচ্ছে তাদের কথা চিন্তা করে রিভার সিস্টেম ডেভেলপ করে স্থায়ী বাঁধ গড়ে তোলা হবে। ১০০ বছরের পরিকল্পনা এটি।