Bangladesh

Terrorism has reduced in Bangladesh: US
Amirul Momenin

Terrorism has reduced in Bangladesh: US

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 03 Nov 2019, 04:32 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ৩ : বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার গতি ও মাত্রা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। শুক্রবার ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোজিম-২০১৮’ শীর্ষক বৈশ্বিক বার্ষিক জঙ্গিবাদবিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০১৮ সালের জঙ্গিবাদ পরিস্থিতি সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।

এতে বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার গতি ও মাত্রা ধারাবাহিকভাবে কমেছে। যদিও পৃথক ঘটনায় একজন সেক্যুলার লেখক খুন ও একজন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক গুরুতর আহত হয়েছেন। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়ে হামলা পরিকল্পনা নস্যাৎ, সন্দেহভাজন জঙ্গি নেতাদের গ্রেফতার, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ করেছে। জঙ্গিবাদ এবং জঙ্গিদের ভূ-স্বর্গ হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে না দিতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অব্যাহত রেখেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।


প্রায়ই জঙ্গি হামলার জন্য বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠীকে দায়ী করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে ২০১৫ সাল থেকে প্রায় ৪০টি হামলার দায় স্বীকার করেছে ভারতীয় উপমহাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট (একিউআইএস) ও আইএস। মার্কিন এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে অনুসারী দলে টানতে ও নিজেদের মতাদর্শ ছড়িয়ে দিতে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করছে। আইএস এবং একিউআইএস তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশনা, ভিডিও ও ওয়েবসাইটে বাংলাদেশি জঙ্গিদের উপস্থাপন করেছে।


উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ জুন সন্দেহভাজন জঙ্গিরা মুন্সিগঞ্জের সেক্যুলার লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী শাজাহান বাচ্চুকে খুন করে। এ ঘটনায় এখনও তদন্ত চলমান থাকলেও খুনীরা একিউআইএসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় বলে বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের ধারণা। সিলেটের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাফর ইকবালকে ইসলামের শত্রু ঘোষণা দিয়ে গণ ৩ মার্চ তার ওপর হামলা চালায় নিজেকে একিউআইএসের সদস্য দাবি করা এক ব্যক্তি। তবে একিউআইএস কিংবা অন্য কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে ওই ব্যক্তির সম্পর্ক নেই বলে বাংলাদেশ সরকারের তদন্তে জানা গেছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনে প্রথমবারের মতো ঢাকা এবং চট্টগ্রামে দু’টি সন্ত্রাসবাদবিরোধী বিশেষ আদালত গঠন করে। ঢাকার বিশেষ আদালতে প্রথম মামলা হিসেবে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে হলি আর্টিসান বেকারি জঙ্গি হামলায় সংশ্লিষ্ট ছয়জনের বিচার শুরু হয়। আইনি ও পদ্ধতিগত বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও বাংলাদেশ সন্দেহভাজন বিদেশি জঙ্গিদের অন্য অভিযোগে বিদ্যমান আইনেই গ্রেফতার করছে।