Bangladesh
TIB makes major comment
আমরা (সংসদ সদস্য) সেভাবে করি না।’ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে কত টাকা বেতন নেন? আমরাও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে আইন পাস করি, এটা কারও দয়ার টাকা নিয়ে নয়, জনগণের টাকায় তাদের রায় নিয়ে।’
সোমবার জাতীয় সংসদের আইপিডি সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সম্প্রতি টিআইবির ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘বিগত দশম জাতীয় সংসদে কোরাম সংকটের কারণে প্রাক্কলিত ব্যয় হয়েছে ১৬৩ কোটি ৫৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৩ টাকা।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
ফজলে রাব্বী বলেন, ‘কিছুদিন আগে টিআইবি সংসদ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। উনারা উনাদের মতো করে কথা বলেন। উনাদের সম্পর্কে আমরা যদি বলি, তাহলে তো মাথায় হাত পড়বে।’
ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা বিষয়ক একটি আইন অবশ্যই প্রয়োজন। জাতীয় সংসদে আইন বিষয়ক একটি কমিটি রয়েছে। তাদের দিয়ে খসড়াটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে সেটিকে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতির নিকট পাঠানো হবে। ককাসের সদস্যবর্গসহ বিশেষজ্ঞগণ, সুশীল সমাজ, এনজিও প্রতিনিধি, গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সভার আহ্বান করা হবে। এরপর বিলটি চূড়ান্ত করতে সংসদীয় কমিটির সাথে আলোচনার মাধ্যমে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ শিশু আদালত গঠনের উপরও গুরুত্বারোপ করেন ডেপুটি স্পিকার।
পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু। বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল, আরোমা দত্ত, আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল ও কাজী কানিজ সুলুানা।
অনুষ্ঠানে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন- ২০১৯’ শীর্ষক খসড়া বিলটি পাওয়ারপয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি নাসিমা আক্তার জলি।