Bangladesh

Two awarded death sentence in professor Rezaul murder case

Two awarded death sentence in professor Rezaul murder case

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 08 May 2018, 08:41 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, মে ৮: দু’ই বছর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় দুই জেএমবি সদস্যের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শিরিন কবিতা আক্তার এই রায় দেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলো, অধ্যাপক রেজাউল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী পলাতক রাবি’র ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম ও বগুড়ার শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে সাকিব।

 

তারা জঙ্গি সংগঠন- জেএমবির সদস্য।  যাবজ্জীবন পাওয়া তিন আসামি হলেন নীলফামারীর মিয়াপাড়ার রহমতউল্লাহ, রাজশাহী মহানগরীর নারকেলবাড়িয়া এলাকার আব্দুস সাত্তার ও তার ছেলে রিপন আলী।

 

জানা যায়, অধ্যাপক রেজাউল অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চিন্তাভাবনা করতেন।

 

শিক্ষকতার পাশাপাশি তার এলাকায় তিনি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন।

 

তিনি মুক্তমনা হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গ্রণযোগ্যতা অন্যরকম ছিল।

 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয় রাবির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে। তিনি ‘কোমলগান্ধার’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।

 

‘সুন্দরম’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনেরও উপদেষ্টা ছিলেন। অধ্যাপক রেজাউল ভালো সেতার বাজাতেন। তিনি একটি গানের স্কুল প্রতিষ্ঠারও চেষ্টা করছিলেন।

 

তবে এ মামলার আসামি জেএমবির শরিফুল এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহত শিক্ষক রেজাউল করিমের মেয়ে রিজওয়ানা হাসিন শতভি।

 

তিনি বলেন, ‘শরিফুল বাবাকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। সে এখনও গ্রেফতার হলো না। এই বিষয়টা আমাদের খুব পীড়া দেয়। আমরা তো তার বিচারই আগে দেখতে চাই।’

 

শরিফুল অধ্যাপক রেজাউলের ছাত্র ছিল। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় তার বাড়ি। অধ্যাপক রেজাউলের গ্রামের বাড়িও বাগমারায়।

 

তাই তাদের মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল।

 

এই হত্যাকান্ডের পর থেকেই শরিফুল পলাতক।

 

অধ্যাপক রেজাউল হত্যার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আটক এক আইএস জঙ্গির সঙ্গে শরিফুলের সম্পৃক্ততা পেয়েছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।

 

তাই শরিফুল ভারতেই পালিয়ে আছে বলে ধারণা করে রাজশাহীর পুলিশ। শরিফুলকে ধরিয়ে দিতে রাজশাহী মহানগর পুলিশ দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তার হদিস পাওয়া যায়নি।