Bangladesh
Two Rohingyas killed in 'gun fight' with Border Guard personnel in Teknaf
সোমবার (0৬ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হানিলা ইউনিয়নের ওয়াবরাঙ্গিতে নাফ নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে পঞ্চাশ হাজার পিস ইয়াবা, একটি চীনা পিস্তল এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃতরা হলেন উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের মোহাম্মদ শফিকের ছেলে মোহাম্মদ আলম (২৬) এবং বালুখালী ক্যাম্পের মোহাম্মদ এরশাদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন (২৪)।
বিজিবি ল্যান্স নায়েক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস ও নায়েক মোঃ শেখ উদ্দিন এই ঘটনায় আহত হন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফের বিজিবি ব্যাটালিয়ন ২ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান বলেন, সোমবার রাতে বিজিবি গোপন সূত্রে খবর পায় যে বর্ডার আউটপোস্ট (বিওপি) সংলগ্ন ওয়াবরাঙ্গির নানীরবাড়ি সীমান্ত দিয়ে মাদক দ্রব্য আসছে।
তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল অবস্থান নেয়। তিনি জানান, যখন বিজিবি র দল নাফ নদীতে মাদক পাচার চক্রের সদস্যদের সাঁতার কাটতে দেখে এবং তাদের আত্মসমর্পণের দাবি জানায়, তখন তারা পাল্টা গুলি চালায় এবং বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়।
তিনি আরো বলেন যে যখন বিজিবি আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়, তখন ড্রাগ কার্টেলের একজন সদস্য কেওরা নিকটবর্তী একটি বাগানের দিকে পালিয়ে যায়। উভয় পক্ষ চার থেকে পাঁচ মিনিট ধরে গুলি বিনিময় করে।
মাদক চক্রের আহত সদস্যদের চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর পরই আহত দুই ব্যক্তি মারা যান।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক খান আলম বলেন, সোমবার রাতে বিজিবি দুই রোহিঙ্গাসহ চারজন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। রোহিঙ্গাদের গুলিতে আহত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং আহত বিজিবি সদস্যদের চিকিৎসার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিজিবি কর্মকর্তা বলেন, দুই রোহিঙ্গার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র মতে, এ বছর ৫ জুলাই পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে গুলির লড়াইয়ে ৫০ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২৬ জন সক্রিয় ডাকাত ছিল। বাকিরা মাদক ব্যবসায়ী।