Bangladesh
US Senators to urge govt to direct Myanmar to return Rohingyas
নিউইয়র্ক স্টেটের পাঁচ সিনেটর ২০ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করতে এদেশ সফর করেন। এরা নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোরালো সমর্থন ও সহযোগিতা করে আসছেন।
সিনেটর লুইস সেপুলভেডা’র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- লিরয় কোমরি, জেমস স্কোউফিস, কেভিন এস পার্কার ও জন সি লিউ। এছাড়াও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তিন জন স্টাফ সদস্য রয়েছেন। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সিলেটে সফরের পাশাপাশি তারা বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
লুইস অনুধাবন করেছেন যে বিশ্বের সব বড় দেশ বিশেষত শিল্পন্নত দেশগুলোর উচিত রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধানের উপায় বের করতে মিয়ানমারের উপর ব্যাপক চাপ দেয়া। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপের ঘাটতি রয়েছে এবং এই সংকট অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের সাথে যা ঘটছে বিশ্বের দরবারে তা যথাযথভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না।’ তিনি রোহিঙ্গাদের সাথে কি হচ্ছে তা বিশ্বের মানুষকে জানানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
লুইস বলেন, ‘এই সফরের পর আমরা বিশ্ববাসীকে রোহিঙ্গাদের সাথে কি ঘটেছে এবং বাংলাদেশ যা করছে তা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরব।’ মানবিক দিক বিবেচনা করে সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহায়তা দেয়ায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দৈনিক ভিত্তিতে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয়, খাবার ও নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই সংকটের টেকসই সমাধান বের করতে হবে।’
সিনেটর স্কোউফিস বলেন, বাংলাদেশীরা রোহিঙ্গাদের যেভাবে আশ্রয় দিয়েছে, বিশ্বের অনেক দেশই এই বদান্যতা দেখায় না। এটা অনেক বড় ত্যাগ। তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এটা বাংলাদেশী মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। মানবজাতির প্রতি তাদের স্বদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ।’
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট কক্সবাজার জেলায় নতুন করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে ‘জাতিগণ নির্মূল’ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠন ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।