Bangladesh
Won't interfere in the internal affairs of Bangladesh: US
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর কোনও আগ্রহ নেই।’ মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকায় এক বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে প্রায় চার বছর কাজ করার পরে নির্বাচনের দুই মাস আগে আগামী শুক্রবার বার্নিকাট ওয়াশিংটনে ‘গভীর তৃপ্তি’ নিয়ে ফেরত যাচ্ছেন।
অতীতে কী হতো সে বিষয়ে আলোকপাত করে বার্নিকাট বলেন, ‘এখানে যেসব মার্কিন রাষ্ট্রদূত কাজ করেছেন, তাদের কাছ থেকে আমি জেনেছি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বাসায় সবাই জড়ো হয়ে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা একটি অত্যন্ত বাজে বিষয়। এটি কখনও কাজ করতো, আবার কখনও কাজ করতো না, কিন্তু আমি অতীতে ফেরত গিয়ে এটি ঠিক করতে পারি না।’
বার্নিকাট বলেন, ‘আজকের দিনে একদল এটি করতে পারবে, আরেক দল অন্য বিষয় করতে পারবে, এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যদি কেউ মধ্যস্থতার কাজ করেন, তবে সেটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
আওয়ামী লীগ ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে সংলাপকে স্বাগত জানিয়ে বার্নিকাট বলেন, ‘এটি অত্যন্ত ইতিবাচক বিষয়। কথা বলা কোনও খারাপ জিনিস নয়, কিন্তু কথা না শোনাটা খারাপ।’ তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কি আমরা মধ্যস্থতা করেছি? মোটেই না। আমার পক্ষ থেকে বলতে পারি, এটি এই সংলাপের সবচেয়ে ভালো দিক। এখন আমরা কূটনীতিকরা সংলাপের কথা বলি না বরং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলি।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি যখন প্রথম এখানে আসি, তখন হরতাল, অবরোধ চলছিল। অনেক মানুষ মারা যাচ্ছিল। ওই সময় আমিসহ কয়েকজন রাষ্ট্রদূত এক হয়ে দুই দলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতা করেছিলাম। কিন্তু আমরা বুঝতে পেরেছি, অনেক ক্ষেত্রে এটি একটি বড় শিক্ষা যে, এদেশের মানুষ যা চায়, তার থেকে বেশি আমরা চাইতে পারি না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, নির্বাচন কমিশন কবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেটি তারা পালন করবে, এটি দেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র্র অপেক্ষা করছে।’
তবে, একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য বিরোধী দলের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন বার্নিকাট। এজন্য নির্বাচনে প্রতিটি দলের অবাধভাবে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকতে হবে বলেও তিনি মনে করেন।